Moto G8 Power Lite Full Review ||
বন্ধরা Motorola কে এখন এক ধরনের নষ্টালজিয়াও বলা যেতে পারে। প্রথম হ্যান্ডেল ডায়নাটিক 8000 থেকে আজকের এই সুন্দর স্মার্ট ফোন। এবার তারা বাজারে নিয়ে এসেছে আর নতুন ফোন যার নাম Moto G8 Power lite. হ্যা বন্ধুরা আজ আমরা এই ফোনটি নিয়েই আমাদের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি। আশাকরছি মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখবেন।
ইউজার ইন্টারফেস : এখনকার সময়ে কিন্তু স্মার্ট ফোনের বড় সড় একটা প্রবলেম হচ্ছে ইউজার ইন্টারফেস বা Ui। তবে এই ফোনের ক্ষেত্রে কোম্পানীটি তাদের নিজস্ব Ui এর একদম স্ট্রক এন্ড্রয়েট রেখেছে। যা কিনা সত্যি প্রশংসার দাবিদার বলা চলে। কোন আজে বাজে এ্যাড নেই, কোন জাঙ নেই, একদমই ক্লিন বলা চলে। যাকে বলতে পারেন ক্লিন এবং স্মুথ একটা অপারেটিং সিস্টেম। তবে বিশেষ একটা ফিচার রয়েছে যার নাম হলো চপ চপ। হ্যা বন্ধুরা ঠিক দেখেছেন চপ চপ এটা মানে হলো ফোনটা দুই বার নাড়ালে পেছনে ফ্ল্যাশ অটোমেটিক চালু হয়ে যাবে আবার দুই বার নাড়ালে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। আর একটা হলো টুইষ্ট, এটার মানে হলো যদি দুই বার এঙ্গেল করে ফোনটা নাড়া দেন তাহলে অটোমেটিক ক্যামেরা চালু হয়ে যাবে। আবার দুই বার নাড়ালে বন্ধ হয়ে যাবে। অবশ্য এটা মটোরলা ফোনের পুরাতন অভ্যাস বলা চলে।
ক্যামেরা ( Camera) : ফোনটিতে মোট তিনটি ক্যামেরা রয়েছে, প্রথম টা 16 মেগাপিক্সেলের এবং F2.0 প্রাইমারী মেগাপিক্সেল। সাথে একজোড়া 2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো এবং জোড়া 2 মেগাপিক্সেলের ডেথলেন্স। তবে ফোনটিতে থাকছে না কোন আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা । ক্যামেরা কোয়ালিটি খুব আহামরি কিছু না। এভারেজ বলা যেতে পারে। ভালো আলো পেলে ছবি মোটামোটি ভালোই পাবেন এবং কালার একোরেসি মোটামোটি ঠিক ঠাক বলা চলে। মাঝে মাঝে সাবজেক্ট এর লাইট ব্যালান্স করতে গিয়ে ফোরগ্রাউন্ড ঝুলিয়ে ফেলে। তবে দিনের বেলা ছবি ঠিকঠাক থাকলেও রাতে বেলা ছবি খুব নয়েজের দেখা মিলবে। তাই বলতে পারি রাতের জন্য এই ফোনের ক্যামেরা কোনভাবেই আদর্শ নয়। প্রায় সময় সাটার লাইট দেখতে পাবেন। তাই শক্ত হাতে ছবি তুলতে না জানলে সঠিক ছবি পাবেন না। তবে প্রটেট মুড রয়েছে এবং প্রটেট মুডের ছবি গুলো মোটামোটি ভালোই বলা যেতে পারে। সামনের রয়েছে F2.0 মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
বাটন : ফোনের বাম পাশে রয়েছে তিনটা সীম কার্ড স্লট। যেখানে দুইটা সীমের পাশাপাশি একটা মেমেরাী কার্ডের জায়গা রিজার্ভ করা আছে। ডান পাশে ভলিউম রকার্সের নিচে টেক্সচার্জ একটা পাওয়ার বাটন রয়েছে, উপরের দিকে পাওয়াবে 3.5 মিলিমিটারের একটা হেড ফোন জ্যাক। আর নিচের দিকে রয়েছে প্রাইমারী মাইক্রো ফোনের সাথে ইউএসবি পোর্ট।
হার্ডওয়ার : ফোনটিতে চিপ সেট হিসাবে রয়েছে হেলিও পি 35. যেটা কিনা প্রায় দুই বছর গত হয়ে যাওয়া আগের একটা চিপসেট। তবে কোম্পানীটি কেন এই ধরনের চিপসেট ব্যবহার করলো এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। অন্তত্য পক্ষে G35 দিলেও একটা কথা ছিলো। আর তাই পারফরমেন্স নিয়ে কথা বলতে গেলে এটা হার্ড কোর ইউজারদের জন্য না বরং এটা লাইট ইউজারদের জন্যই এসেছে বাজারে।
গেম : ফোনটাতে ছোট খাটো টুডি আর ফ্রি ফায়ারের মতো গেম খেলতে পারবেন ঠিকঠাক মতো। তবে হেভি গেম চেষ্টা না করাই উত্তম।
ব্যাটারী: 5000 Mha ব্যাটারী ব্যাকআপ দেয় অসাধারণ সিঙ্গেল চার্জে মডারেট ইউজে দুই দিন ব্যাকআপ দিতে সক্ষম ফোনটির ব্যাটারী পাওয়ার। চার্জার টা 10 ওয়াটের হওয়াতে একটু চার্জিং সময়টা বেশি লেগে যায়।
ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর : ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর যথেষ্ট ফাষ্ট রয়েছে। তবে এতে পাবেন না কোন ফেস আনলকিং ফিচার।
নোটিফিকেশন লাইট: এটার সাথে রয়েছে নোটিফিকেশন লাইট। যেটা এখনকার দিনে পুরো দমে আমাবশ্যার চাদ হাতে পাওয়ার মতো বলা যেতে পারে। বেশির ভাগ কোম্পানী দিতেই চায় না।
ওজন (Weight): ফোনটা হাতে নিলে প্রথমেই যে বিষয়টি আপনার নজড় কারবে সেটা হলো এর ছিমছাপ দৈহিক গঠন। ফোনটির ওজন মাত্র ২০০ গ্রাম। আর তাই হাতে নিয়ে খুব ভালো একটা ফিল পাবেন। তবে প্লাষ্টিক হওয়াতে তেমন কোন প্রিমিয়াম নেছ নেই।
ফোনটির সাথে ফ্রি যা কিছু পাওয়া যাবে ( Free with Phone): ফোনটির বক্সে আপনি পারেন 10 ওয়াটের একটি চার্জার। মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবল। 3.5 মিলিমিটার এয়ারফোন এবং আরো পাবেন ফোনের সাথে চিপকানো সুন্দর একটি টিপিও কেস। ও হ্যা সাথে ১ বছরের অফিসিয়ালি ওয়ারেন্টি।
দাম: বাংলাদেশের জন্য ফোনটার অফিসিয়াল দাম ধরা হয়েছে ১৫০০০ টাকা।